নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আ.লীগ জয়লাভ করবে: দুই বিদেশি সংস্থার পূর্বাভাস

আর মাত্র কয়েকদিন বাদেই অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে জাতীয় নির্বাচন। এ নিয়ে সবার মাঝেই কাজ করছে এক অন্যরকম উত্তেজনা। তবে এবার নির্বাচনে অনেক কিছুই দেখা যাবে যা আগে দেখা যায়নি।

আসন্ন একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ জয়লাভ করবে বলে আভাস দিয়েছে দুটি জরিপকারী সংস্থা। বুধবার রাতে এক ফেসবুক পোস্টে প্রধানমন্ত্রীর তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় এই তথ্য জানান।

৫১টি আসনের ওপর বাংলাদশের রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার- আরডিসি’র চালানো জরিপে দেখা গেছে, সবগুলোতেই জয় পাবে ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ। অন্যদিকে আসন্ন নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যগরিষ্ঠতা পাবে বলে জানিয়েছে ব্রিটেনভিত্তিক জরিপ সংস্থা ইকোনোমিস্ট ইন্টিলিজেন্স। চলতি বছরের আগস্ট থেকে অক্টোবর মাসে দেশের ৫১টি আসনে জরিপ চালায় রিসার্চ এন্ড ডেভেলপমেন্ট সেন্টার- আরডিসি।

বুধবার মধ্যরাতে এক ফেসবুক পোস্টে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সন্তান এবং তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি বিষয়ক উপদেষ্টা সজীব ওয়াজেদ জয় জানান, প্রতি আসন থেকে এক হাজার করে মোট ৫১ হাজার নিবন্ধিত ভোটারের ওপর জরিপ চালানো হয়। জরিপের প্রত্যেকটি আসনেই এগিয়ে রয়েছে আওয়ামী লীগ। ১২ দশমিক ২ শতাংশ নিয়ে সবচেয়ে কম ব্যবধানে জয়ের সম্ভাবনা জয়পুরহাট ১ আসনে। আর ৭৫ শতাংশ জনমত নিয়ে জয়ের সবচেয়ে বেশি সম্ভাবনা বরিশাল ৪ আসনে।

জরিপের ফলাফলে দেখা যায়, ৬৬ শতাংশ মানুষ আওয়ামী লীগের সমর্থন করেন, অন্যদিকে ১৯ দশমিক ৯ শতাংশ মানুষ বিএনপিকে সমর্থন করেন। এদিকে একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন আওয়ামী লীগ নিরঙ্কুশ সংখ্যগরিষ্ঠতা পাবে বলে আভাস দিয়েছে ব্রিটেন ভিত্তিক জরিপ সংস্থা ইকোনোমিস্ট ইন্টিলিজেন্স।

সংস্থার সর্বশেষ প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগের নেতৃত্বে গত কয়েক বছর ধরেই বাংলাদেশের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি এগিয়েছে। ২০২৩ সালের মধ্যে দেশের প্রবৃদ্ধি ৭ দশমিক ৭-এ গিয়ে দাঁড়াবে বলে প্রতিবেদনে জানানো হয়। একইসঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র এবং চীনের মধ্যকার বাণিজ্য যুদ্ধের কারণে বাংলাদেশ লাভবান হবে বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।

তবে জরিপকারী সংস্থাটির পক্ষ থেকে সতর্ক করে বলা হয়, আগামী কয়েক বছর বাংলাদেশে রাজনৈতিক অস্থিরতা অব্যাহত থাকবে। একইসঙ্গে রোহিঙ্গা ইস্যুতে প্রতিবেশী মিয়ানমারের সঙ্গে বাংলাদেশের উত্তেজনা অব্যাহত থাকবে বলেও প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়।